এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও ছারপোকা (ম্যাজিক) গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়েসহ ৫জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৫জন যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা সরকারি হাসপাতাল ও মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মইগ্যারমারছড়া পয়েন্টে ঘটেছে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পরপর হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যান সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয় লোকজন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সদর সার্কেল) মো. মাসুদ আলম জানান, ঘটনাস্থলে এক মহিলাসহ চারজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আরো এক মহিলা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই গাড়ির অন্তত ১৫ জন যাত্রী। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তন্মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় শিশুসহ চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই ছারপোকা গাড়ির যাত্রী।
নিহতরা হলেন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রংমহল গ্রামের আহমদ হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ তারেক ((১৮), একই ইউনিয়নের সুয়াজিন্নাহ এলাকার বাহাদুর আলমের স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৪০) ও তার মেয়ে আয়েশা বেগম (১৪), সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা গ্রামের শিব্বির আহমদের পুত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী আহাদুল করিম (১৮) ও কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত মিয়া আজমের পুত্র আবু ছৈয়দ (৬৫)।
আহতরা হলেন চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মেনিবাজারের মো. মারুফ হোসেনের স্ত্রী সানজিদা বেগম (৩৫), তার ৬ মাস বয়সের শিশু মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া গ্রামের আবু ছিদ্দিকের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম (৩৫), বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী গ্রামের মৌলভী মো. জকরিয়ার কন্যা তাসমিনা জন্নাত (১৮)। এছাড়াও চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩৩) ও তার কন্যা জন্নাতুল মরিয়ম (২)। মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিনজনকে। তারা হলেন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের চা-বাগান এলাকার মৃত আমীর আলীর ছেলে আবদুল মতলব (৫৫), সুয়াজিন্নাহ এলাকার কামাল হোসেনের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৫) ও ছারপোকা গাড়ির সহকারী সাহারবিল ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার আহমদ কবিরের ছেলে কফিল উদ্দিন (৪২)। এছাড়া আরো ৭জন যাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আহতদের মধ্যে যাত্রীবাহী ইউনিক বাসের চালকসহ কয়েকজন রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করেছে। ##
পাঠকের মতামত: